আরাফাত সানীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৬ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানী ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ১৬ এপ্রিল ঠিক করেন। এ দিন আদালতে আরাফাত সানী ও তার মা আদালতে হাজিরা দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হরলাল মল্লিক বিষয়টি জানিয়েছেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করে সানীর স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকা সিএমএম আদালতে নথি পাঠান। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় বলা হয়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেন আরাফাত সানী ও নাসরীন সুলতানা। এরপর তিন বছর পার হলেও পারিবারিক স্বীকৃতি দেননি সানী। উল্টো গত বছর ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

ওই মামলায় সানী রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি তার মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করেন। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়নি। পরে ২৩ জানুয়ারি যৌতুক আইনের ৪ ধারায় আরাফাত সানীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দীর্ঘ ৫৩ দিন কারাগারে আটক থাকার পর ১৫ মার্চ কারামুক্ত হন আরাফাত সানী।