আরো ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ : কুনিও হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলায় অটোচালকসহ আরো পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের এজলাসে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আগামী মঙ্গল ও বুধবার দুদিনে পাঁচজন করে মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এর আগে ১৮ জানুয়ারি মামলার বাদীসহ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, সোমবার এই মামলার সাক্ষী অটোচালক স্বাধীন মিয়া, গ্রামবাসী আমিনুল ইসলাম, আনোয়ারা বেগম, মোস্তফা হোসেন ও শহিদার রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী তৎকালীন কাউনিয়া থানার ওসি মো. রেজাউল করিম। এরপর সাক্ষ্য দেন সারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম।

এই মামলায় গত বছরের ১৫ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার শুনানি শেষে ৭ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ৪ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। পর পর দুটি ধার্য তারিখে বিভিন্ন কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ১৮ জানুয়ারি প্রথম এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় খরচে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হলে অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন ও আবুল হোসেনকে আসামি পক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। তারও আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর কাউনিয়া আমলি আদালত-২ এর বিচারক আরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে মামলাটি রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। পরে ২৬ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর বিচারের জন্য মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করেন।

এ মামলায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৮ জঙ্গির বিরুদ্ধে গত ৭ আগস্ট অভিযোগপত্র দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।

আসামিদের মধ্যে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ পাঁচ জঙ্গি কারাগারে আছে। বাকি তিনজনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আনছারী পলাতক রয়েছেন। অপর দুই আসামির মধ্যে সাদ্দাম হোসেন ৫ জানুয়ারি ঢাকায় এবং অপর আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান গত বছরের ১ আগস্ট রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে হোসি কুনিওকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করে।