উন্নয়ন মেলায় সব বাহিনীর পৃথক স্টল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার শুরু হবে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা ২০১৭।

রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত (৯ থেকে ১১ জানুয়ারি) চলবে এ মেলা। মেলায় এই প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ সব বাহিনীর পৃথক স্টল থাকবে। মেলায় মোট ৮৮টি স্টল থাকবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির সেগুনবাগিচা মাঠে জেলা প্রশাসক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গঠনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেল ৩টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মেলার উদ্বোধন করবেন।

তিনি আরো বলেন, এ মেলায় সব মন্ত্রণালয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মেলায় আগত লোকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। সরকারি সংস্থাগুলোর সেবাসমূহ মেলাস্থল থেকে সরাসরি প্রদান করা হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের গত ১২ বছরের অগ্রগতি ও উন্নয়নচিত্র মেলায় তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশের উন্নয়ন হয়েছে অনেক। সবাই এই উন্নয়নের অংশ। এই অর্জন সবার। এই উন্নয়নকে তুলে ধরতে আয়োজন করা হচ্ছে উন্নয়ন মেলা। তিন দিনব্যাপী এ মেলায় থাকবে আলোচনা সভা। এছাড়া সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরা হবে।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে দেশবরেণ্য শিল্পী-কলাকুশলীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া মেলায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ, আলোচনা, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা।

মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষাসহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। মেলায় এ বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

সোমবার সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাব থেকে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলার কার্যক্রম সবার কাছে পৌঁছে দিতে জাতীয় তথ্য বাতায়নের (bangladesh.gov.bd) মাধ্যমেও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আল মামুন, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী, মোহাম্মদপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তোফাজ্জল হোসেন, রমনা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।