এফটিএ স্বাক্ষরে শ্রীলঙ্কার প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট- এফটিএ) স্বাক্ষর করতে শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বুধবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর হোটেল সিন্ডমোন লেকসাইডে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের (জেএসি) ৫ম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষর হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, পেপারসহ বিভিন্ন পণ্য কম দামে রপ্তানি করবে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের পণ্য আমদানি করলে শ্রীলঙ্কার জন্যও লাভজনক হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দামে বাংলাদেশ এসব পণ্য শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করতে সক্ষম। এজন্য বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।’

২০২১ সালে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এজন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টির জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষিজাত পণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। অনেক পণ্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত হওয়ায় বেশিরভাগ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। শ্রীলঙ্কাও এ সুবিধা দিলে বাণিজ্য বাড়বে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রায় ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য হচ্ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করেছে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। একই সময়ে রপ্তানি করেছে ৩০.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য ১৪.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বাণিজ্য খুবই সামান্য। শ্রীলঙ্কার বাজারে শুল্কমুক্তসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা দিলে রপ্তানি অনেক বাড়বে এবং বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে আসবে।