কিডনি রোগীরা বেঁচে থাকতে সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ১২ থেকে ২২ শতাংশ কিডনি রোগীরা ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে তাদের সম্পদ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশে এক শতাংশেরও কম রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে। তবে কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় নিরূপণ করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা সম্ভব।

শুক্রবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য দেন। সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ নানা ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। নব্বই দশকে জনসংখ্যার এক শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগত।

সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (নেফ্রলজিস্ট) নেই। যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই রাজধানীতে থাকেন। ফলে রাজধানীর বাইরের রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তারা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না।

বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রাথমিক লেভেল থেকেই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে ১৫ লাখ শিশু নেফ্রলজির রোগী রয়েছে, কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। আবার কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে কিডনি রোগীদের ১২ থেকে ২২ শতাংশ সম্পদ বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আইএসএন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ।