গাংনী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ

৫০ জন শিক্ষক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে পর্ব-১
আল-আমীন,মেহেরপুর ঃ মেহেরপুরের গাংনী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অনিয়ম দুনীর্তির মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করে আসছেন । বিদ্যালয়ের ২হাজার ৬শত ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে বছরে আয় করা হয় প্রায় ১ কোটি টাকা, বছরে ব্যয় দেখানো হয় প্রায় ৬০লক্ষ টাকা। বাকী আয়ের উদ্বৃত্ত থাকে ৪০লক্ষ টাকা যা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির নিজের বা আত্মীয়দের ব্যাংক হিসাব নাম্বারে জমা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে কোন টাকা জমা রাখা হয়নি । প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব নং ১০০০০০৬৯৮ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গাংনী বাজার শাখা । বর্তমান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ৫০ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন । তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে প্রায় ৫ লক্ষ করে নেওয়ার কথা বলেন বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয় একজন শিক্ষক আরো বলেন ,আমাদের শেষ সম্বল বিক্রয় করে কর্ম সংস্থানের জন্য নিয়োগ নিয়েছি। চার থেকে পাঁচ বছর কোন প্রকার বেতন ভাতা ছাড়াই চাকুররি করে আসছি। নিয়োগ দেওয়া ৫০জন শিক্ষক কর্মচারীর নামের তালিকা প্রদান করা হয়নি বিদ্যালয় পরিদর্শক দলের কাছে। এদের ভবিষ্যত কি এবং চাকরী এমপিও ভূক্ত হবে কি না সেটি নিয়ে বেশ সন্দিহান অনেকেই। অপরদিকে বিদ্যালয় জাতীয় করন করে দেওয়ার নামে প্রধান শিক্ষক প্রায় ১৪লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে থেকে উত্তলোন করে তিনি গ্রহন করেন । ৩মাস পার হলেও টাকা ফেরত দেননি। জাতীয়করণ হয়নি এ নিয়ে শিক্ষদের মাঝে চলছে বেশ আলোচনা সমালোচনা। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে বাজার সংলগ্ন ৩৬ টি দোকান ঘর আছে যা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়া আছে । উক্ত ভাড়ার টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে না রেখে নিজেরা আত্মসাৎ করেণ । স্কুল মসজিদ নির্মানের জন্য বর্তমান সময়ে দুই বা ততোধিক বার সকল ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা উঠানো হয়েছে । এবং সরকারী অনুদান পাওয়ার পরেও মসজিদ নির্মাণ হয়নি । সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্বীয় সরকারী উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা হওয়ায় কোন বিয়ষে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়না এবং প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছোট বড় ঠিকাদারী কাজ নিজেই সম্পন করেন। প্রতিষ্ঠানের মাঝেখানে বড় একটি পুকুর অবস্থিত । উক্ত পুকুর লিজ না দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজেই মাছ চাষ করেন। যার কোন আয় প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়না । প্রধান শিক্ষক পুকুরে বালি উত্তলোন করে বালি বিক্রয় এর টাকা আত্মসাত করেন। প্রতিষ্ঠানের যে কোন অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে উঠিয়ে কাজ সম্পাদন করা হয় । বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত জে এস সি / এস এস সি /এইস এস সি পরিক্ষার ফরম পুরণ নির্ধারন থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ২৩০০/ থেকে ২৫০০/টাকা আদায় কারা হয় বলে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত এই অর্থ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজেরা আত্মসাত করেন। বর্তমান সভাপতি আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। যার মধ্যে হিজলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক নিয়োগ কে কেন্দ্র করে গ্রাম ব্যাপি সাধারণ মানুষ সহ স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে যার ফলে দুই বছর সমস্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায় অপরটি বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া কে কেন্দ্র করে আজও সংঘর্ষ চলছে ।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চায়ের দাওয়াত দেন এবং সংবাদটি না লিখার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন ।