গ্রেনেড হামলা মামলায় আরো পাঁচ আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আরো পাঁচ আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের আদালতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

নিজেদের নির্দোষ দাবি করা আসামিরা হলেন- মাওলানা আবু তাহের, আবু জানদাল, রফিকুল ইসলাম সবুজ, আরিফ হাসান সুমন এবং হোসেন আহম্মেদ তামিম।

বিচারক এ আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি গ্রহণের আগে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আসা সাক্ষ্য পৃথকভাবে পড়ে শোনান। এরপর বিচারক তাদের পৃথকভাবে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ? জবাবে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তারা সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কি না, তা জানতে চাইলে তারা নিজেরা লিখিতভাবে সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে জানান। এরপর বিচারক ধার্যকৃত আগামী তারিখে তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বলেন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার আত্মপক্ষ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এর আগে মামলাটিতে কারাগারে থাকা হরকাতুল জিহাদ নেতা মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, সাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, আব্দুল মাজেদ ভাট, আব্দুল মালেক, মাওলানা মহিবুল্লাহ ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাহিদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল ও জাহাঙ্গীর আলমও আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

গত ৩০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৪ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় দলের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে যান।