চাকরির দাবিতে রাবির গেট বন্ধ করে অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চাকরির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় মতিহার থানা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমপক্ষে ৩০ জন নেতা-কর্মীরা প্রধান গেট বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নেয়। পরে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। একই দাবিতে রোববার সকালেও উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রধান গেট বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে সোয়া ৯টার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান নেতা-কর্মীদের উপাচার্যের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলার পরামর্শ দেন। এরপর তারা সেখান থেকে উপাচার্য ভবনে চলে যান। সেখানে উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে তারা চলে যান।

এ সময় মতিহার থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আকরাম আলী, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য জাকারিয়া, মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ইয়ামিন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টার দিকে মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট থেকে মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট দিয়ে পুনরায় প্রধান গেটে আসে। পরে সেখানে তারা সমাবেশ করে। সমাবেশে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসন তাদের মেয়াদে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়নি। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও কমিয়ে দিয়েছে। এতে শিবির দ্বারা নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা চাকরি থেকে বঞ্ছিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার দাবিতে তারা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন।

উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে মতিহার থানা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আকরাম বলেন, ‘চাকরি বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আর আন্দোলনে যাব না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। তবে তাদের দাবির বিষয়ে লিখিত কিছু আমাকে জানানো হয়নি।’