চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদার আত্মপক্ষ শুনানি ৩ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৩৪২ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ আবার পিছিয়ে ৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তিন নম্বর বিশেষ আদালতের জজ আবু আহমেদ জমাদার আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ঠিক করেন। ওই দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তাকে আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে পুনরায় জেরা করার দিন ধার্য ছিল।

এদিন মামলার কার্যক্রমের শুরুতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা প্রদান করা হয়। এরপর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আপিল বিভাগের রায়ের কপি না পাওয়ায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার তারিখ পেছানোর জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

এই মামলায় অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ওই আদালতের তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায়
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়ার সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব (বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।