ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা ২৬ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী শহিদুল ইসলামকে জেরার জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলাটিতে কাজী শহিদুল ইসলামকে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম পরবর্তী জেরার তারিখ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন।

কাজী শহিদুল ইসলাম বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুগ্ম-জেলা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ১৬ নভেম্বর তিনি জবানবন্দি দেন।

মামলাটিতে এ পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত ।

নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে।

মামলা তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেদিন আল-আমিনকে ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে ও এক আসামি মারা গেছেন।

এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।