”জনগণের ঘরে ঘরে যেয়ে কাজ করুন”

নিউজ ডেক্স: টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজয়ের হ্যাটট্রিক করতে চায়। তাই নির্বাচনে উপর্যুপরি তৃতীয় মেয়াদে জয়ের জন্য দলের নেতাদের জনগণের ঘরে ঘরে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাশাপাশি বিচারপতি অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা অবৈধ ঘোষণা করে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের বিষয়ে জাতীয় সংসদের বাইরে কথা বলার ক্ষেত্রে দলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরুকে জাতীয় সংসদে উচ্চ আদালতের দেওয়া এ রায় সম্পর্কে আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরার নির্দেশ দেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসবভন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শুরুর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে সূচনা বক্তব্য রাখেন।

বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাদের একাদশ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো বিজয় লাভে জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। এ জন্য সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

আগামী নির্বাচনে জিততে গেলে জনগণের ঘরে ঘরে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে যেতে হবে। উঠান বৈঠক করতে হবে। সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন ব্যক্তিদের মাঠে নামাতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরে বিএনপির জামায়াতের অতীত শাসনামলে দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরতে হবে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাররা যেন বাদ না পড়েন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি। নিজ নিজ এলাকায় প্রাপ্তবয়স্করা স্বতস্ফূর্তভাবে যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন সে বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দলীয় সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন তিনি।

বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায় সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার বিষয়ে সরকারপন্থী আইনজীবীদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলে অভিযোগ করেন খাদ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমাদের আইনজীবী ভালভাবে মুভমেন্ট করে নাই। তাদের ভূমিকা জোরালো ছিল না।

একই ধরনের কথা বলেন আরেক কার্যনির্বাহী সদস্য নজিবুল্লাহ হিরু। তিনি বলেন, আমি বারবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান দুর্বল থাকায় কিছু করা যায়নি।

কামরুল ইসলামের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও প্রাক্তন আইনমন্ত্রী মতিন খসরু বলেন, আইনজীবীদের ভূমিকা সঠিক ছিল। আমরা সবাই ভালভাবে ভূমিকা পালন করেছি। আমরা সবাই আদালতে সোচ্চার ছিলাম। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি এখনও প্রকাশ হয়নি। তাই এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কথা না বলাই ভালো।