জাপান নিরাপত্তা সতর্কতা তুলে নেবে

বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে দুঃখজনক ঘটনার পর বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অবস্থানরত জাপানিদের নিরাপত্তার বিষয়ে দেশটির আরোপিত সতর্কতা শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিন দিনব্যাপী জাপান সফর শেষে দেশে ফিরে অর্থমন্ত্রী রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে জাপানের যে শঙ্কা ছিল তা কেটে গেছে। জাপান সরকার বাংলাদেশে কর্মরত জাপানি নাগরিকদের প্রতি যে পরামর্শ দিয়েছিল তা খুব শিগগির তুলে নেওয়া হবে বলে জাপানের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জাইকাসহ জাপানের সব ধরনের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।’

মুহিত বলেন, ‘জাইকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের একদিন বৈঠক হল। ওই দিনই জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো’র সঙ্গে বৈঠক হয়। তিনি বললেন, আলোচনার কোন বিষয় নেই। কেননা, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই অ্যাডভাইজারি বাতিল। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ধরণের রিজার্ভেশন আর নেই। এখন এটা ইফেকটিভ হতে যা সময় লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘সো দিস ওয়াজ এ ভেরি গুড ইনফরমেশন, এটা আমাদের দেশের জন্য খুব ভাল একটি খবর। জাপানের যে রেস্ট্রিকশন বাংলাদেশের জন্য ছিল ইন ডুইং বিজনেস, দ্যাট হ্যাজ বিন উইথড্রন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীকেও এসব ব্যাপারে অবহিত করেছি।’

মুহিত বলেন, ‘জাপানের ব্যবসায়ীরা তো অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করতেন। মাঝখানে কিছুটা ছেদ পড়েছিল। এখন সেটা স্বাভাবিক। ব্যবসায়ীদের মতো সরকারি পর্যায়েও শিগগিরই আসা-যাওয়া শুরু হবে।’

জাপানের নিষেধাজ্ঞা কেমন ছিল- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লিখিত কোনও স্টেটমেন্ট ছিল না। তবে দেশটির নাগরিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর বাংলাদেশে জাপানি কোনও প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল না। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মার্কেটটি বড় করতে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য এখন সহজ হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য দক্ষ শ্রমিককের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে।’

রিজার্ভ চুরির ব্যাপারে সিআইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সিআইডির প্রতিবেদন আমি দেখিনি। কাজেই ওই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবো না। তবে আমি যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম সেটির প্রতিবেদন প্রকাশ করবো। তবে সেটি বিশেষ কারণে একটু দেরি হচ্ছে।’