‘টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাবা রিকশাচালক। চার জনের সংসার ঠিকমতো চলে না। আর্থিক অনটন লেগেই থাকে। এ সুযোগটিই নিয়েছে নিপীড়নকারী।

পুলিশ বলেছে, এই পরিবারের সাত বছরের শিশুটিকে টাকার লোভ দেখিয়ে একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর যৌন নিপীড়ন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ নিপীড়নকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

রোববার শাহজাহানপুর থানা এলাকায় এই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটি এখন অসুস্থ। সে সম্ভবত ধর্ষককে চেনে। সেরে ওঠার পর তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজও শুরু করেছে। শিশুটির মামা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।’

ওসি বলেন, ‘পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। শান্তিবাগে বস্তির মতো ঘরে থাকে। সন্দেহ করা হচ্ছে, নিপীড়নকারী আগে থেকেই শিশুটিকে টার্গেট করে রেখেছিলো। পরে তার পরিবারের আর্থিক অনটনের সুযোগ নেয় সে। ঘটনার সময় সে শিশুটিকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই বাসায় নিয়ে যায় বলে তদন্তে মিলেছে।’

সোমবার দুপুরে শিশুটির বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতর মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন মা হাসিনা বেগম। অপেক্ষায় ছিলেন হাসপাতালে মেয়ের কাছে যাওয়ার। তিনি বলেন, ‘যে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে মেয়েটির। ইতোমধ্যেই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

শাহজাহানপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, নিপীড়নকারীকে শনাক্ত করতে স্থানীয় একাধিক সূত্র মাঠে কাজ করছে। একই সঙ্গে ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। থানা পুলিশের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও তদন্ত করছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রোববার বিকেলে আরবি পড়া শেষে শিশুটি বাসায় ফিরছিল। এ সময় অজ্ঞাত এক যুবক তাকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। শিশুটি শান্তিবাগের একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।