ঢাকা আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টা থেকে ১টা এবং ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১টা এবং ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির প্রাক্তন সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নান জানান, ১৬ হাজার ১২৯ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ১১ জন ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার ৩ হাজার ৬৫২ জন এবং বুধবার ৫ হাজার ৩৫৯ জন আইনজীবী ভোট দেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ভোটগণনা শুরু হবে। গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।

এ নির্বাচনে ১২০টি বুথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২০ জন কমিশনার এবং ১৮০ জন সদস্য ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

নির্বাচনে ২৭টি পদের বিপরীতে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭টি জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন।

নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, সহসভাপতি পদে এ আর মিজানুর রহমান, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফর রহমান আজাদ, জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. নিহার হোসেইন ফারুক, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাখাওয়াত উল্লাহ ভুইয়া ছোটন, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে এ বি এন ইফতেখারুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দপ্তর সম্পাদক পদে মো. জুলফিকার আলী হয়দার জীবন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান।

নীল প্যানেলের হয়ে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একতানদার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভুইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মো. ইকবাল মাহমুদ সরকার, মো. মুকতাদির আহমেদ কাজল, মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মো. শাহীন হোসেন, মো. জাহেদ উল আলম জতি, মেহেদী হাসান বাদল, মো. ইব্রাহিম স্বপন, মো. ইয়াছিন মিয়া, মোসা. জেবুন্নেছা খানম জীবন, নজরুল হক সুভা, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই।

সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহসভাপতি পদে মো. রুহুল আমিন, ট্রেজারার পদে আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন পাটয়ারী, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে এম মনিরুজ্জামান মানির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাছলিমা আক্তর রিতা, দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুর রশিদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাদিয়া আফরীন শিল্পী।

সাদা প্যানেলের হয়ে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদস্য পদে আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মো. হাসান আকবার আফজাল, সুমন মিয়া, মো. নুরুদ্দিন, শেখ সাইফুর রহমান সুমন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. সাইফুজ্জামান টিপু, মোহা. আহসান হাবীব, সাদিয়া আফরোজা, সাবিনা আক্তার দিপা, মির্জা মো. জামাল হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম, সফাত নাহার সুমি ও তুষার ঘোষ।

দুই প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে মৌসুমি বেগম নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।

২০১৭-২০১৮ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল জয়লাভ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল মাত্র ছয়টি পদে জয়লাভ করে।