তথ্য বাতায়নে উন্নয়ন মেলার কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরতে শুরু হচ্ছে উন্নয়ন মেলা-২০১৭।

এই মেলার কার্যক্রম সবার কাছে পৌঁছে দিতে জাতীয় তথ্য বাতায়নের মাধ্যমেও প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এটুআই সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশের উন্নয়ন হয়েছে অনেক। সবাই এই উন্নয়নের অংশ। এই অর্জন সবার। এই উন্নয়নকে তুলে ধরতে আয়োজন করা হচ্ছে উন্নয়ন মেলা। প্রতিটি জেলা ও উপজেলার ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত উন্নয়ন অগ্রগতি ও উন্নয়ন মেলার কার্যক্রম জাতীয় তথ্য বাতায়নের (bangladesh.gov.bd) মাধ্যমে প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

‘উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই বিষয়কে সামনে রেখে সারাদেশে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হতে যাচ্ছে ৯ জানুয়ারি থেকে। গত ১২ বছরের অগ্রগতি ও উন্নয়ন চিত্র এতে তুলে ধরা হবে।

এ মেলার উদ্দেশ্য হবে দেশের সকল উপজেলা ও জেলা শহরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ অর্জনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের সামনে তুলে ধরা।

মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) পরিচালক (প্রশাসক) ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রধানমন্ত্রীর ওইদিন বিকাল তিনটায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মেলার উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, সব সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মেলায় আগত লোকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

১০টি বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রায়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ।

তিন দিনব্যাপী মেলায় থাকবে আলোচনা সভা। তা ছাড়া সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানাদিক তুলে ধরা হবে। বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোও তাদের সুবিধাজনক সময়ে এ ধরনের মেলার আয়োজন করবে।