তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ অ্যাপারেল ক্লাবে এডিবির অর্থায়নে পরিচালিত বিজিএমইএ- স্কিল ফর ইমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট পোগ্রাম (সেপ) নামের প্রকল্পের আওতায় সফলভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স এবং সরকার মিলে মোট ৩ হাজার ৭০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্য থেকে ৩৯টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিদর্শনের সময়ে অনেকে বলেছিলেন যে, এই ব্যবসা এদেশে টিকবে না। কিন্তু দেশের কারখানার কর্মপরিবেশ এখন অনেক উন্নত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘পোশাক রপ্তানিতে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছি। আমাদের আগে রয়েছে চীন। ভিয়েতনাম আমাদের কাছাকাছি রয়েছে। মায়ানমার ঠিকমতো কাজ করছে না। আফ্রিকার শ্রমিকরাও বেশি কাজ করে না। তবে আমাদের শ্রমিকরা অনেক পরিশ্রম করে। এ জন্যই এই ব্যবসা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন।’

এই শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে সরকারের কাছে জরুরি ভিক্তিতে একটি এনার্জি পলিসির দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, চীনের বাজার ধরে রাখার সক্ষমতা, শ্রমিকের দক্ষতা ও সর্বোপরি সস্তা শ্রমিকের কারণে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্বের মোট ৫০৩ বিলিয়ন ডলারের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৫টি আইটেম শার্ট, প্যান্ট, ট্রাউজার, জ্যাকেট ও সোয়েটার রপ্তানি করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে।

পোশাক শিল্প সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি (বিইউএফটি), ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, ইন্টারটেক ও ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপারেল ম্যানেজমেন্ট (চট্টগ্রাম) থেকে ২০০ জন ট্রেইনি সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জাতীয় প্রকল্প পরিচালক) জালাল আহমেদ। এ ছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বিইউএফটি এর ভিসি প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ আরো অনেকে।