নতুন প্রজন্মকে গণতন্ত্রমনা করে গড়ে তুলতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শনিবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেন। কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্র চর্চার মানসিকতা তৈরি জরুরি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা তৈরি করতেই প্রতি বছর ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের’ আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে একে অপরকে সহযোগিতা করা, শ্রদ্ধা করা, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহাযোগিতা, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে গণতন্ত্রমনা করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। পাশাপাশি এই নির্বাচনও প্রভাব ফেলতে পারে কিশোর শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনায়।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা অনেক। পাশাপাশি এ নিবার্চনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবার্চন হয় না। সেই ধারা বদলাতে আমাদের এ কার্যক্রম।

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশের শান্তি ফিরিয়ে এনেছি আমরা। বতর্মানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এসময় মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোডের্র সচিব মো. আলমগীর, বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ রইসুল আলম ময়না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিশোর বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চার মানসিকতা তৈরি করতে চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন।

সারা দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ এবং দাখিল মাদ্রসায় ২৯ জানুয়ারি মোট ২২ হাজার ৬৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৮ জন।

এ বছর দেশের ৪৮৭টি উপজেলা ও আটটি মহানগরে ২২ হাজার ৬৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৯৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬ হাজার ৫৫৭টি দাখিল মাদ্রাসায় ভোট হচ্ছে। ১ লাখ ৮১ হাজার ১৫২টি পদের জন্য ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ভোট গ্রহণের সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে শিক্ষার্থীরাই নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন ও ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্যানবেইস।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র আহ্বানের পর ১৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল, ১৭ জানুয়ারি বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ, ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।