নীলফামারীতে শব্দ দূষণ রোধে মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ

আল-আমিন, নীলফামারী: দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় আলোচনা সভা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে লিফলেট বিতরণ ও শব্দ দূষণ রোধে চাদের হাট বাজারে মানববন্ধন হয়েছে। 
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশমুড়ী চান্দের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও আমাদের করণীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে লিফলেট বিতরণ ও শব্দ দূষণ রোধে মানববন্ধন হয়েছে। মানববন্ধনে শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্কুলের ৩শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এ সময় বিশমুড়ি চান্দের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, শহর সমাজসেবা অফিসার হৃদয় হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান আলী।
এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন,  নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মফিজার রহমান, নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক
রফিকুজ্জামান দুলু, রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক  সুজানুর রহমান সুজা, রামনগর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী মানিক চন্দ্র রায়, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ সরকার, রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক শ্রী:সুজন রায়, নীলফামারী সদর উপজেলা শাখার সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদের সভাপতি সেলিম মিয়া,  দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আঃ মমিত, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান খান,  সচেতন ছাত্র সমাজর সভাপতি নুর আলম সজল, সাধারণ সম্পাদক এম এইচ রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিলুর রহমান শ্যামল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিচালনা করেন, দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থা এবং দ্বীপ্তমান যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন।
বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ দূষণ বর্তমানে এক অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে। নানাভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণগুলির মধ্যে শব্দদূষণ একটি। শব্দদূষণ যে পর্যায়ে অবস্থান করছে তা খুবই আশংকাজনক।  আমরা একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানুষের তৈরি এমন একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য পরিবেশগত সমস্যা হলো শব্দদূষণ। বাড়িতে, অফিসে, রাস্তাঘাটে এমনকি বিনোদনের সময়ও আমরা বিভিন্নভাবে শব্দদূষণের শিকার হচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবণশক্তি লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি বোধ, অনিদ্রা, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রকম মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের প্রভাবে সর্বস্তরের মানুষ সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে ছাত্র-ছাত্রী, শিশু, হাসপাতালের রোগী, ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী ও গাড়িচালকরা শব্দদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণ শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। দেশ ও জাতি বঞ্চিত হচ্ছে বিকশিত প্রজন্ম পাওয়া থেকে, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। তাদের মানসিক বিকাশের অন্তরায় শব্দদূষণ। শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের ওপরে হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়। যে কোনো ধরনের শব্দদূষণই মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে গর্ভবতী মায়েদের। এতে সুস্থ অবস্থায় শিশুর জন্মগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার শব্দদূষণ যত বেশি সময় ধরে চলে তার ক্ষতিকর প্রভাবও তত বেশি হয়।