প্রচ্ছদশিল্পী ও অভিনেতা সেলিম আহমেদ আর নাই

অধ্য বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বিশিষ্ট প্রচ্ছদশিল্পী, শিল্পনির্দেশক ও অভিনেতা সেলিম আহমেদ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১৭ ডিসেম্বর হঠাৎ বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন সেলিম আহমেদ। আজ আসরের নামাজের পর ইস্কাটন জামে মসজিদে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হাসপাতালটির চিকিৎসা সূত্রের তথ্য নিয়ে আজাদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, সেলিম আহমেদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর ফুসফুসেও পানি জমে গিয়েছিল। শেষ দিকে কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। আজাদ আবুল কালাম আরও বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি ভালোই ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষের দিকে তাঁর অক্সিজেনও কমে গিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

সেলিম আহমেদের জন্ম রংপুর জেলায়। তিনি সপরিবার মগবাজারে নিজস্ব বাসায় থাকতেন। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। আশির দশক থেকে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন সেলিম। প্রায় চার দশক ধরে প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে কাজ করেন তিনি। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে লেখাপড়া করছে। ছোট ছেলে ঢাকায় এ লেভেলে পড়ে।

সেলিম আহমেদ অভিনয় শুরু করেন এক দশক আগে। ‘জয়িতা’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। গোলাম মুক্তাদিরের ‘লোটাকম্বল’ ধারাবাহিকসহ বেশকিছু একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি।

প্রায় ১০ বছর আগে সেলিম আহমেদ অভিনয় শুরু করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম নাটক ছিল জয়িতা। এরপর তিনি গোলাম মুক্তাদির পরিচালিত লোটাকম্বল ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। অভিনয়জীবনে তিনি একক, ধারাবাহিক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। সম্প্রতি চিরঞ্জীব মুজিব ছবির শিল্পনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ছবিতে একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন সেলিম। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে তাঁর লেখা রানার নামে একটি নাটক টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এটি পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল।