ফার্নিচার, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : এখন থেকে ফার্নিচার রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য ও গরু–মহিষের নাড়িভুঁড়ি রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, সাভারের ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া শস্য ও শাকসবজির বীজ ও পাটকাঠির কার্বন রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি বা প্রণোদনা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ এবং জাহাজ রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানি ভর্তুকির হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং আলু রপ্তানি খাতে ভর্তুকির হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা এবং এ খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা আগের মতো ৪ শতাংশ থাকবে। বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হাতে তৈরি পণ্য (হোগলা, খড়, ছোবড়ার পণ্য) ও হালকা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, কৃষিপণ্য ও হালাল মাংস রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ বহাল আছে।

এ ছাড়া হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হার ৭ থেকে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে বরফ আচ্ছাদনের হার ২ থেকে ৫ শতাংশ এবং বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকি পণ্যভেদে ৫ থেকে ২০ শতাংশ বহাল রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কোনো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে কোনো অর্থবছরে সাড়ে ৩৫ লাখ ডলারের বস্ত্র বা সামগ্রী রপ্তানি করলে এবং বৃহৎ কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন না হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।

প্রজ্ঞাপনটি অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজ করে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ সহায়তা পরিশোধ্য হবে।