বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় ল’ফার্ম

সংসদ প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ল’ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ল’ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবিসহ তথ্য পাঠানো ও তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত আসন-২৩ এর সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ৩ হাজার ৯৬৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং ৬৪৯ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনজন বিজিবি সদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০০৯ সালে ১২৫ জন আহত ও ২৮ জন নিহত, ২০১০ সালে ১৭৬ জন আহত ও ৪০ জন নিহত, ২০১১ সালে ১৯০ জন আহত ও ৫১ জন নিহত, ২০১২ সালে ২০৫ জন আহত ও ৩৮ জন নিহত, ২০১৩ সালে ২ হাজার ২১০ জন আহত ও ১০৯ জন নিহত, ২০১৪ সালে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত, ২০১৫ সালে ৩৭২ জন আহত ও ১২৬ জন নিহত, ২০১৬ সালে ২৫৯ জন আহত ও ১২৮ জন নিহত এবং ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত ১৫০ জন আহত ও ২৭ জন নিহত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে’র হেফাজতের তাণ্ডবে আহত কর্মরত কনস্টেবল মোহাম্মদ পিয়ারুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ও আন্তরিকতায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তার চিকিৎসা বাবদ প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিল থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ ব্যয় ছাড়াও নিহত, আহত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কল্যাণ তহবিল থেকে বিধি মোতাবেক আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে এবং পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৬ মে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে হেফাজত কর্মীদের আকস্মিক হামলায় নিহত বিজিবির দুই সদস্যের প্রতিটি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ ও ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা, বিজিবি মহাপরিচালকের তরফ থেকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিজিবির উত্তরা মার্কেটে নিহতদের প্রতি পরিবারকে একটি করে দোকান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিজিএমইর পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।