বদরুলের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যা আছে

সিলেট : সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র (ঘটনার পর চিরতরে বহিষ্কৃত) ও একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়।

সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনার এক মাস পাঁচ দিন পর আদালতে চার্জশিট দিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ।

সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৩৬ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে ৩৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে।

চার্জশিটে বদরুলের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কারণে ৩২৪, গুরুতর জখমের কারণে ৩২৬ এবং হত্যাচেষ্টার জন্য ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, খাদিজাকে ‘উত্ত্যক্ত করার ধারবাহিকতায়’ চাপাতি দিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে বদরুল।

চার্জশিটের বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণে চার্জশিট দাখিলে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত।