মানিকগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়া ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা খিলগাঁওয়ে গ্রেফতার

জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধিঃ ‘গোয়েন্দা সংস্থায় খারাপ রিপোর্ট হয়েছে, আপনার গুরুতর ক্ষতি হবে। তবে তাকে টাকা দিলে সেসব ঠিক করে দেওয়া হবে।’ এভাবে ভয়ভীতি এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে মানিকগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করতেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী সোমেল হোসেন মজুমদার। এভাবে তিনি শতাধিক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেন।তাকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
৮-ই সেপ্টেম্বর২০২১-ইং রোজ বুধবার রাত পোনে ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি সেট জব্দ করা হয়।
৯-ই সেপ্টেম্বর২০২১-ইং রোজ বৃহস্পতিবার বিকেলে র‍্যাব-৩ এর সহকারী মিডিয়া পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে প্রতারক সোমেল হোসেন মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব গোড়ান, খিলগাঁও ও এর আশপাশ এলাকায় এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একাধিক লোকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।
এই তথ্যের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য র‍্যাব-৩ এর একটি অভিযানিক দল বুধবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক সোমেলকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই কর্মকর্তা জানান, কেউ বিপদে পড়লে সোমেল এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতেন। তারপর বিভিন্ন অজুহাতে সুকৌশলে  ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করতেন।
এছাড়াও এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন সোমেল। এক পর্যায়ে তিনি তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বলতেন, আপনার নামে গোয়েন্দা সংস্থায় খারাপ রিপোর্ট হয়েছে, আপনার গুরুতর ক্ষতি হবে, তবে তাকে টাকা দিলে তিনি সব ঠিক করে দিতে পারবেন। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। এভাবে তিনি  শতাধিক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেন।
তার বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস।