মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গিবাদ

মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গিবাদ।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন তিনি উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ দমন করছেন। অথচ এ উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গিবাদ।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদ শব্দটির সঙ্গে মানুষ পরিচিত ছিল না। সরকার বলে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। তাহলে কী করে আসকোনায় জঙ্গি ধরা পড়ে। এরা কী আসলে জঙ্গি নাকি রাষ্ট্রীয় সৃষ্টি? সরকার জঙ্গিবাদ দমন করছে সেটি জনগণকে দেখানোর জন্য। কোনো নাটক সৃষ্টি না করে আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ দমন করি।

রিজভী বলেন, আমরা নির্বাচনের (নাসিক) আগে বলেছিলাম পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে কি না। মানুষের ভয় ভেঙে ভোটকেন্দ্রে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। আগের দিন রাতে ভোটের সব জিনিস ঢুকেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায়। অথচ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী এর আগে কোনো সঠিক নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিলেন কেন? আমরা বলছি এ ভয়, সংশয়ের তদন্ত করা দরকার। কীভাবে ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে? নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, ভয়মুক্ত কোনো নির্বাচন করতে পারেনি। আজ আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করে দিয়েছে।

জিয়াউর রহমানের মাজার সরানো বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, সরকারের যদি সামান্যতম ন্যায়বোধ থাকে তাহলে একজন শায়িত ব্যক্তিকে ডিস্টার্ব করতেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কত বছর ক্ষমতায় থাকবেন? ১০ বছর কিংবা ২০ বছর? একদিন তো ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তবে যখনই ক্ষমতা ছাড়েন না কেন, এর প্রতিক্রিয়া হবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। যা হবে খুবই ভয়ংকর, মারাত্মক।

তিনি বলেন, একজন বীর প্রতিক, মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসৈনিকের জন্য সামান্যটুকু জায়গা হবে না এত অকৃতজ্ঞ জাতি কী করে হয়? এ কৃতঘ্নতা আল্লাহ পাকও বরদাস্ত করবেন না।

‘জিয়াউর রহমানকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বা নেতা এভাবে চিন্তা করা ঠিক হবে না। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। শুধু তিনিই নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, তাজউদ্দিন আহমেদ, এ কে ফজলুল হক, আব্দুল হামিদ খান ভাসানীও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ছিলেন। তাদের প্রতি ন্যূনতম ঈর্ষা জাতি কিছুতেই মেনে নেবে না।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির নেত্রী খালেদা ইয়াসমীন, কৃষক দল নেতা শাজাহান মিয়া।