মেহেদী হত্যাকাণ্ডে তার বন্ধু গালিবই জড়িত, দাবি মেহেদীর মা-বাবার

মোঃ জয়নাল আবেদিন রুহিয়া থানা ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বন্ধু গালিবকে সন্দেহ করছে মেহেদীর পরিবার। তার পরিবারের লোকজনদের দাবি, মেহেদীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারই বন্ধু গালিব।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মেহেদীর মা মাহফুজা, বাবা আব্দুল মালেক এ দাবি করেন। সেই সঙ্গে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল জানান, সংঘর্ষ শেষে ঘটনাস্থল থেকে মেহেদীর সঙ্গে আহত অবস্থায় আরমানকে এবং কিছুটা অচেতন অবস্থায় গালিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরমান বেশ আহত হলেও গালিবের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। উপস্থিতদের ধারণা, রক্ত দেখে গালিব অচেতন হয়ে পড়েছে।
মেহেদির মা মাহফুজা জানান, আমার ছেলেকে পাশের বাড়ির গালিব ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মেহেদীর নানা মেহেদীকে খুঁজতে বের হয়। মেহেদীর সঙ্গে নানার দেখাও হয়। সে সময় মেহেদী তার নানাকে বলে, ‘তুমি যাও আমি একটু পরে যাচ্ছি।’ তার কিছুক্ষণ পরই দুরামারি এলাকার শামিমের হোটেলের পাশেই মেহেদীকে মেরে ফেলে রাখার খবর পাওয়া যায়।
মেহেদীর মা মাহফুজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেটা বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। তাকে হাসপাতালে না নিয়ে আহত অন্য দুইজনকে আগে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গালিব যদি তাৎক্ষণিক চিৎকার দিতো বা আশেপাশে কাউকে ডাকতো তাহলে অন্যরা এসে আমার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। কিন্তু তারা চিৎকারও করেনি কাউকে জানতেও দেইনি। আমার ছেলের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মেহেদির বাবা আব্দুল মালেক।
এদিকে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছে মেহেদীর সহপাঠীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, আসন্ন ইউপি নির্বাচনের ব্যস্ততায় তদন্ত প্রক্রিয়া চাপা পড়তে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, মেহেদীর হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে আদালতে হাজির করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।