শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধ করব: কাদের

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধ করব। হিন্দু ভাইদের বলব, আপনাদের ভয় নেই। শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছেন। আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে আছে।’

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার সারা দেশে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ হয়। পরে সেখান থেকে ‘শান্তি শোভাযাত্রা’ বের হয়। সেই সমাবেশেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়ে নাই। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে আজ সম্প্রীতি-সমাবেশ হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। যতদিন না এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত আমরা ভেঙে দিতে পারব, ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে, রাস্তায় থাকবে।’

‘আজকে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর- এগুলো ২০০১ সালে বিএনপি সরকার যে নির্যাতন চালিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি। আবার নতুন করে সম্প্রাদায়িক হামলা-সন্ত্রাস শুরু করেছে।’

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রত্যেকটি দুর্গাপূজায় হাজার হাজার পূজামণ্ডপে পূজা চলেছে। কোনো ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুসলমান আছে, তাদের জানমালের কথাও আমাদেরকে ভাবতে হবে। হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভারতের একটা বড় অংশ মুসলমানদের জীবনকেও বিপন্ন করে ফেলছে।’

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা করে তাদের সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগের সারা দেশে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, বিএনপি আজ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।’

সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট, শিক্ষাভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে তা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।