সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা দিয়েছে হেইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে কোম্পানি দুটির লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশের চেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হেইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তাদের কোম্পানির গত এক বছরের মুনাফার ৫ ভাগের এক-দশমাংশ হিসেবে ১ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৭ টাকা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আল-আমিন রহমান তাদের কোম্পানি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৭১ টাকার চেক প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, দেশি, বহুজাতিক ও বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সবাই যদি তাদের লাভের নির্দিষ্ট অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা দেয় তাহলে বাংলাদেশে আর কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না। তিনি বলেন, সরকারের এ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে যে কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২ লাখ, কর্মক্ষেত্রে পঙ্গু হলে সর্বোচ্চ ২ লাখ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে ১ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ‘তাছাড়া কোনো শ্রমিকের সন্তান সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অথবা সরকারি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করলে তিন লাখ এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করলে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে’ বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কল্যাণ তহবিল থেকে শ্রমিকদের সাহায্য করার কারণে এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে হৃদ্যতা বেড়েছে। বেড়েছে সচেতনতা। প্রতিদিনই নতুন নতুন কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের অর্থ এ তহবিলে জমা দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের এ তহবিলে বর্তমানে মোট জমার পরিমাণ প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত এ তহবিল থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ তহবিলে দেশি এবং বহুজাতিক মিলে ৯৪টি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দিয়েছেন। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের মহাপরিচালক ডা. আনিসুল আওয়াল পিএইচডি, হেইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং পার্টনার অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরিফ, কোম্পানির শ্রমিক প্রতিনিধি মো. জামাল হোসেন, উত্তম কুমার বিশ্বাস এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. আল মাসুদ ও মো. এহতেসামুল হক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ শ্রম আইনের আলোকে গঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নিয়ম অনুযায়ী যাদের কোম্পানি মূলধন ২ কোটি টাকার ওপরে অথবা মোট সম্পত্তি তিন কোটি টাকার ওপরে হয় বছর শেষে যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে সে লাভের শতকরা ৫ ভাগ শ্রমিক কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। বছরান্তে লাভের ৫ ভাগের এক-দশমাংশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল প্রদান করতে হবে। এ তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানিক, অপ্রতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ সহায়তা করা হয়।