সানী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্রিকেটার আরাফাত সানীর বিরুদ্ধে এবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন তার স্ত্রী বলে দাবি করা তরুণী।

বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম রেজানুর রহমানের আদালতে ওই তরুণী (নাসরিন সুলতানা) এ মামলা করেন। মামলায় আরাফাত সানীর মা নার্গিস আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ ফোরকান মিয়া জানিয়েছেন, বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মাদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট এম কামাল উদ্দিন আহমেদ ও নাসরিন জাহান রুবি মামলা পরিচালনা করেন।

এর আগে নাসরিন সুলতানা গত ৫ জানুয়ারি সানীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় গত ২২ জানুয়ারি সানীকে ঢাকার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তার এক দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ২৩ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা যৌতুক আইনের ৪ ধারায় সানীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় সানীকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন আদালত। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে সানী কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলায় গত ২৬ জানুয়ারি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে সানীর জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিন শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে উভয়ের ঘনিষ্ঠতা হয় এবং একপর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর দুই পক্ষের অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে নাসরিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়ে যাননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।

এরপর গত বছর ১২ জুন রাতে আরাফাত সানী নাসরিন সুলতানার নাম এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ওই আইডি থেকে বাদীর আসল অ্যাকাউন্টে অন্তরঙ্গ অশ্লীল ছবি পাঠায় এবং নানা হুমকি দিতে থাকেন। এ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বাদী মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সানি রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি সানির মা নার্গিস আক্তার থানার সামনে বাদীকে মারধর করে। এ বিষয়ে ওই দিন থানায় অভিযোগ দিলেও থানা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী আদালতে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী নাসরিন জাহান রুবি।