নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি এলাকায় জেলেদের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এতে অমল জল দাস (১৫) নামে এক কিশোর নিহত ও মিলন জল দাস (২০) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তিন জেলেকে।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে বঙ্গোপসাগরের চ্যানেল থেকে অমল জল দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত অমল জল দাস তমরদ্দি ৩নং ওয়ার্ডের প্রেম জল দাসের ছেলে। নিখোঁজ মিলন জল দাস একই এলাকার সূর্য জল দাস মাঝির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বুধবার রাত ১২টার পর শেষ হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তমরদ্দি থেকে পাঁচজনের একদল জেলে ছোট একটি ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার জন্য মেঘনা নদীতে যায়। গভীর রাতে মাছ শিকার করার এক পর্যায়ে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরের চ্যানেলে ডুকে পড়ে তারা। এসময় তাদের ট্রলারটি পানির প্রচণ্ড স্রোতে উল্টে গিয়ে ডুবে গেলে তিন জেলে সাঁতার দিয়ে কূলে উঠে আসলেও অমল ও মিলন নিখোঁজ থাকে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অমলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে জেলেরা।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারে মোট পাঁচজন জেলে ছিল। যার মধ্যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হয়েছেন একজন, যার মরদেহ সকালে জেলেরা উদ্ধার করে। ঘটনায় আরও এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।