হিলি সীমান্তে দুইদিন ব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ’র “যৌথ অনুশীলন” শুরু

সামিউল আলম (দিনাজপুর), বিশেষ প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে চোরাচালান ও অপরাধীদের প্রতিরোধে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে যৌথ অনুশীলন “হিলি এক্সপ্রেস” শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। দুইদিন ব্যাপী এই যৌথ অনুশীলনে মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন। দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা, বন্ধুত্বতা, ও সৌহার্দতা বাড়াতে জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন এই যৌথ অনুশীলনের আয়োজন করে।
জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় যৌথ অনুশীলনে অংশ নিতে আসা ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি জর্জ মানজুরাল এর নেতৃত্বে বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি হিলি চেকপোস্টে আসেন। এসময় বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জাকির হোসেন সহ অন্য কর্মকর্তারা বিএসএফের প্রতিনিধি দলটিকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর চেকপোস্ট গেটে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে যৌথ অনুশীলন “হিলি এক্সপ্রেস” এর কার্যক্রম তুলে ধরেন দুই বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি’র রংপুর রিজিয়নের ডেপুটি কমান্ডার কর্ণেল জুলফিকার এবং বিএসএফ’র ১৯৯ ব্যাটালিয়নের টুআইসি আলকেশ সিনহা সহ উভয় বাহিনীর স্টাফ অফিসাররা।
লে. কর্ণেল মোস্তাফিজুর আরও জানান, সকাল সোয় ১০টায় চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশী, আমদানিকৃত পণ্যবাহি ট্রাক যৌথভাবে তল্লাশী চালায় বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা। এরপর সেখান থেকে হিলি সিপি ক্যাম্পের অতিথি শালায় বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তারা এক সাক্ষাতে মিলিত হন। বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি রেলষ্টেশনের দক্ষিণপার্শে এক পতাকা বৈঠকেও মিলিত হন বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তারা। এর আগে সীমান্ত পিলারও চেকিং করে যৌথ অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীরা। দুপুর ২টায় যৌথ অনুশীলনের প্রথমদিনের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষনা করা হয় বলে জানান বিজিবি’র এই কর্মকর্তা।
এদিকে বিজিবি’র এক প্রেসরিলিজে জানানো হয়, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুনরায় যৌথ অনুশীলন শুরু করবে বিজিবি ও বিএসএফ। এর অংশ হিসেবে হিলি রেলষ্টেশনে ট্রেন ও যাত্রীদের তল্লাশী, সীমান্তের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলিতে চোরাচালান বন্ধসহ বিভিন্ন ধরণের যৌথ অনুশীলন ছাড়াও ছায়া অভিযান পরিচালনা করা হবে।