আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগের একদিন পর নারী শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

শহিদুল ইসলাম, আশুলিয়া: ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন আবাসন ১নং গেটের সন্নিকটে রবিউলের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিঃ এর নারী শ্রমিক নাজমা নামের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার একদিন পরে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

বলা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। আশুলিয়া থানায় এ বিষয়ে ধর্ষিতা নাজমা (১৬) বাদী হয়ে মামলা করার জন্য অভিযোগ করেন। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি ২০১৯ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে উক্ত কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সে, কিন্তু থানায় মামলা না হতেই একদিন পরে সোমবার সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। জানা গেছে, গরিব অসহায় বলে ওই কিশোরীর বাবা তার কম বয়সী মেয়েকে আশুলিয়ার জামগড়া একটি টেনিং সেন্টারে কাজ শিখিয়ে (ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিঃ) নামের একটি ফ্যাক্টরীতে চাকরি দেয়। শনিবার দিবাগত রাতে অফিস ছুটি হওয়ার পর, বিবাদী রিপন শিপন সহ একাধিক যুবক তাকে গতিরোধ করে গলির একটি প্লটের বাউন্ডারীর ভিতরে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই খরব এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন আসে তাকে দেখার জন্য এক পর্যায়ে ধর্র্ষিতা কিশোরী লজ্জায় ঘৃণায় লোকসমাজে মুখ লোকাতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের লোকজনের দাবী। পুলিশ ও স্থানীয়রা বলেন নাজমা যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন তার মুখমন্ডল রক্তাক্ত ছিল। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করেছেন অনেকেই। উক্ত বিষয়ে ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিঃ শিল্পকারখানার সহকারী ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী বলেন, অফিস ছুটির পর মেয়েটি তার বাসায় যাওয়ার পথে যদি ধর্ষণের শিকার হয়, তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আমাদের কারখানার সুইং অপারেটার নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ওই মেয়েটি, তাকে কে বা কারা ধর্ষণ করেছে, আসলে বিষয়টি দুঃখজনক। ওই ধর্ষণকারীদের আটক করে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক এটা আমরা চাই। উক্ত বিষয়ে আগের দিনের অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার আশুলিয়া থানার (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, যদি ওই কিশোরীর ধর্ষণের প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে অভিযুক্তদের আটক করা হবে বলে তিনি জানান। এর পর সোমবার ওই কিশোরী নাজমা সকাল ৯টার পর হাসপাতালে মৃত্যু হওয়ার পর, জড়িত থাকার অপরাধে রহিম নামের এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে।

এই বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ গণমাধ্যমে জানান, এই ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রহিম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে ওই কিশোরীর ধর্ষণের বিষয় ও মৃত্যুর কারণ এখানো নিশ্চিত নয়, লাশ ময়না তদন্তের পর বলা যাবে।