খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ৩০ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন আগামী ৩০ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ তারিখ ধার্য করেন। বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা জিয়া সোমবার আদালতে হাজির হননি। তিনি অসুস্থ মর্মে তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে সময় প্রার্থণা করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলাটিতে গত বছর ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বশির আহমেদ। একই ঘটনায় হত্যা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আরও ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি হিসেবে ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, খালেদা জিয়ার তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রাবাড়ী এলাকার প্রাক্তন এমপি সালাদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূঁইয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যান।

ঘটনার পর পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রাবাড়ীর ছাত্রদল, শ্রমিকদল এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ না থাকলেও এজাহারের বক্তব্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়।