জাতিসংঘের জনসেবা পুরস্কার পেল ভূমি মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ই-নামজারি (ই-মিউটেশন) কার্যক্রমের জন্য ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি পাবলিক (সরকারি) প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যু জেনমিন কর্তৃক জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে দেয়া এক চিঠির বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জনস্বার্থে সেবার অসামান্য অর্জনে (ভূমি) মন্ত্রণালয়টি শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে বলে তারা মনে করছেন। এই কাজ (ই-নামজারি) জনসেবায় ব্রতী হতে অন্যদেরও অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।

২৩ জুন ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস’। প্রতিবছর এ দিনটি যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে উদযাপন করে জাতিসংঘ এবং এসময় বিশ্বজুড়ে পাবলিক (সরকারি) খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ বছর পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। জাতিসংঘ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এই পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ জুলাই সারাদেশে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে (তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে)। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে নামজারির জন্যে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ না করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ৪৮৫ টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩ হাজার ৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ই-নামজারির জন্য ভূমি সেবা গ্রহণে সময় ও পরিদর্শন কমে যাওয়ার ফলে ব্যয় কমে যাচ্ছে। নাগরিকরা এতে সন্তুষ্ট।