টঙ্গীতে শ্রমিকদের জন্য ২০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, টঙ্গীতে শ্রমিকদের জন্য ২০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। এতে ১০ শয্যার বার্ন ইউনিট থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় মিলনায়তনে টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহত শ্রমিকদের পরিবারে সরকারি সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মো. মুজিবুল হক বলেন, শ্রমিকদের সন্তান সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে তিন লাখ টাকা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে ওই তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। কোনো শ্রমিক ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, টঙ্গী এলাকায় জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে নারী শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে। সাকসেশন সনদ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের উত্তরাধিকারকে শ্রম আদালত থেকে আরো এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে নিহত ৩২ জন শ্রমিকের স্বজনকে তিন লাখ টাকা করে এবং আহত ৪০ জন শ্রমিকের প্রতিজনকে ৫০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়। এ টাকার মধ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দুই লাখ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ফান্ড থেকে এক লাখ টাকা রয়েছে।

কলখারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) সৈয়দ আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. আনিসুল আউয়াল, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোলায়মান, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, সম্মিলিত শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেত্রী সামশুন নাহার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জন শ্রমিকসহ ৩৯ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।