ডায়াবেটিসের লক্ষন

ডায়াবেটিসকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। শরীরে ইনসুলিন নামের হরমোনের অভাব ঘটলে, ইনসুলিনের কাজের ক্ষমতা কমে গেলে অথবা উভয়ের মিলিত প্রভাবে রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া-ই হল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসের উপসর্গ চেনা ও ধারনা থাকা খুব অপরিহার্য। ডায়াবেটিসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন পাওয়া সম্ভব।

  • তৃষ্ণা ও প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি: পিপাসা বেড়ে যাওয়া বা ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া ডায়াবেটিস রোগের দুটি সাধারণ লক্ষণ। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষ সারাদিনে ৬-৭ বার প্রস্রাব করেন। পরিবেশ বা পরিস্থিতি পরিবর্তনে দিনে ৪-১০ বার প্রস্রাবকেও স্বাভাবিক ধরা হয়। তার বেশি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • ক্ষতস্থান নিরাময়ে সময় লাগা: যে কোনো ক্ষতের দীর্ঘ সময় ধরে নিরাময় বা ঘন ঘন সংক্রমণ এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • অস্পষ্ট দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টি হঠাৎ করে যদি অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে এবং তার জন্য যদি চোখের কোনো সমস্যা না থাকে, তবে বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যার জন্যই এমনটা হচ্ছে। শরীরের অভ্যন্তরে তরলের মাত্রার তারতম্য হওয়ায় চোখ ফুলে যায়। ফলে দৃষ্টি হঠাৎ করে অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে থাকে। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস: খাদ্যাভ্যাসে কোনো ধরনের বিশেষ পরিবর্তন বা শরীরচর্চা ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ। ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেই ঘাটতি পূরণের জন্য শরীর তার ফ্যাট ব্যবহার করা শুরু করে। ফলে শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে ও ওজন কমতে থাকে।
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া: ডায়াবেটিসের তিনটি প্রধান লক্ষণের মধ্যে অন্যতম হলো ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া। বারবার খাবার খাওয়ার পরেও ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব থেকে যায়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • অবসাদ বা ক্লান্তি বোধ: পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও যদি সারাদিন অস্বাভাবিক ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ডায়াবেটিসের ফলে শরীর পর্যাপ্ত গ্লুকোজ পায় না। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই শরীর ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।