ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে করা প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের মামলায় সমন জারি করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামী ২৩ মে জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে গত ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারে মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, গ্রামীণ টেলিকমের সিএফও ও বোর্ড সেক্রেটারি, ডেপুটি ম্যানেজার মো. মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির আইন সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এজিএম ও বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার মো. আসাদ, বিশ্বজিৎ কুমার, প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে অ্যান্ড ডিজাইনের মতিয়ার রহমান।

মামলায় বলা হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার ওপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিবাদীদের ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি হয়। বাদীর প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী ৪ কিলোমিটারজুড়ে পাইপ স্থাপন করে জুন ২০১৫ সাল থেকে নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন। ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে ১ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল প্রদান করেন। অবশিষ্ট ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকা পাওনা হলে বাদী তা দেওয়ার জন্য চারটি বিল সাবমিট করলেও বিবাদীরা দেই-দিচ্ছি করে ঘোরাতে থাকেন। পরে বাদী টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন। ফলে বাদী ওই টাকা আদায়ের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা টাকা দেয়নি। মামলায় ৪ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী জানান, বাদীর প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভরাটকৃত জায়গার ওপর ইতোমধ্যে বিবাদীদের প্রতিষ্ঠান সেখানে একটি সোস্যাল কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করেছেন।