তরমুজের খোসার উপকারিতা

ঠান্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। শরীরকে হাইড্রেটেট এবং সতেজ রাখতে জন্য খুব সহায়ক। তরমুজের লাল অংশ খাওয়ার পর বাকি অংশ ফেলে দেয়। এতে তরমুজের অপচয়ই হয় না, সঙ্গে স্বাস্থ্য উপকারী অনেক পুষ্টি গুণাগুণও ফেলে দেয়া হয়।

তবে তরমুজের খোসা খাওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে বাইরের সবুজ অংশ যা বাকলের সাথে যুক্ত থাকে সেটা খাবেন না। এটা পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তরমুজে লালের পরে যে সাদা অংশ সেটিসহ খান। এছাড়া এই সাদা খোসার জুস করেও খেতে পারেন।

  • রক্তচাপ হ্রাস: চিকিৎসক যদি আপনাকে বিপি কমানোর নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। আরও ভালো হয় যদি সঙ্গে খোসা খান। বেশ কিছু গবেষণার প্রতিবেদন বলছে তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাজা খোসা খেতে না পারলে নিয়মিত ডায়েটে সিট্রুলিনের পরিপূরক সংযুক্ত করুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত সিট্রুলিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমানো সহজ উপায়। তরমুজের খোসা খাওয়ার সময় বাইরের একদম সবুজ অংশ খাবেন না। এতে করে পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে তরমুজের লাল অংশের পর অবশিষ্ট থাকা সাদা অংশ জুস করেও খাওয়া যেতে পারে।
  • খাওয়ার প্রক্রিয়া: সবজি হিসেবে তরকারি রান্নায় ব্যবহার, সালাদ হিসেবে কিংবা জুস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে তরমুজের খোসা। তরমুজের খোসা ছোট ছোট টুকরো করে ডাল-টমেটোর সঙ্গেও রান্না করতে পারেন। এছাড়াও তরমুজের খোসা দিয়ে সুস্বাদু আঁচার ও হালুয়া তৈরি করা যায়।