নতুন স্বপ্ন নিয়ে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষক

আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট : আমন ঘরে তোলার পর এবার ইরি-বোরো চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন লালমনিরহাটে পাঁচ উপজেলার কৃষক। আমন ধান কাটা- মাড়াই শেষে বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলার ক্ষতি হয়নি।পৌষ-মাঘ মাস ঋতু বৈচিত্রে শীতকাল। কৃষকের জন্য বোরো ধানের চারা রোপনের গুরুত্বপুর্ণ ও সুবর্ণ সময় এই শীতকাল। তাই প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহ ও পৌষের কুঁয়াশা উপেক্ষা করে লালমনিরহাটের কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।শীতের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান চাষের আগাম প্রস্তুতি। কার্তিক অগ্রহায়ন মাসে কৃষকেরা শুরু করেছে আগাম বীজতলা তৈরীর কাজ। কালবৈশাখীর কবল থেকে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার জন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরী ও ধানের চারা রোপন শুরু করেন। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা জুড়ে এখন চলছে ইরি বোরো ধানের চারা রোপনের মহোৎসব।
বর্ষায় হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারীর তিস্তা পাড়ের মানুষেরা পানিবন্দি হয়ে পড়ার কারণে অধিকাংশ নীচু আবাদী জমি উজানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে আমন ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। তাই ইরি বোরো ধান চাষের উপর লালমনিরহাটের কৃষকরা জোর দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় ইরি বোরো ধান বেশি  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । লালমনিরহাটের কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে না পারার ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে ইরি বোরো ধান আবাদ করে। যে কারণে পৌষ কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা হাড় কাঁপানো শীতের বৈরীতা উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি মাঠের কাদা-জলে ভিজে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানাযায়, এই জেলায় এ বছর প্রায় ৮২ হাজার ১১২ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। ইরি বোরো ধান চাষ মূলত ৮৪ হাজার ৯৪৮ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে।