নির্বাচন করতে রাজি না হলে বিএনপির কাছে আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকার সমঝোতার মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করতে রাজি না হলে বিএনপির কাছে আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

দলের নেতা-কর্মীদের সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওপর নগ্ন হামলা এবং বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

আগামীতে একদলীয়ভাবে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলেও এ সময় সরকারকে হুঁশিয়ার দেন মওদুদ।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার পর বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অপরাধ করল তারা (ক্ষমতাসীন দল)। সবাই দেখেছে ভিডিও ফুটেজে, কারা কারা সেখানে ছিল। সমস্ত মানুষের ছবি, মানুষের চেহারা স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তারা সকলে ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। এটা সারা জাতি দেখেছে। এখানে তদন্ত করার কী আছে?’

বিএনপির পক্ষ থেকে মামলার পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে পাল্টা এক মামলায় বিএনপির রাঙ্গুনিয়ার নেতা-কর্মীদের আসামি করেন এক অটোরিকশাচালক।

পাল্টা মামলা দায়েরের কারণ ব্যাখ্যা করে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্বভাব তো আমরা জানি। তারা নিজেরা অপরাধ করে তারপরে যারা অপরাধ করে নাই, তাদের বিরুদ্ধে আরেকটা মামলা দাঁড় করাল। কারণ আদালতে গেলে সুবিধা পায় তারা। তারা বলবে যে, এখানে দুটি মামলা হয়েছে। একটা মামলা পক্ষ, আরেক মামলা প্রতিপক্ষ করেছে। নিজেদের অবস্থানকে একটু সহজ করবার জন্য তারা এই কাজটা করেছে।’

আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খালেদা ইয়াসমীন, নিপুর রায় চৌধুরী, শাহ নেসারুল হক, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম বক্তব্য রাখেন।