বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য, মৎস্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে যৌথভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে উভয় দেশ।

বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের ৮ম সভায় এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে একমত হয়েছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী দেশটির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের ৭ম সভায় দুই দেশের বাণিজ্যকে ৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সই হয়।

আজকের সভায় এই ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এজন্য সম্ভাব্য কৌশল ও কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে দুই দেশের সরকার। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করাই এ সভার মূল উদ্দেশ্য।

জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের এ সভায় কৃষি গবেষণা এবং মৎস্য খাতে সহযোগিতার জন্য দুটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

এবারের সভায় যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সীমান্ত বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য, মৎস্য, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা; জাহাজ চলাচল চুক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, বাণিজ্যমেলায় অংশগ্রহণ, এলসির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য জনপ্রিয়করণ, প্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধার আওতায় কিছু পণ্যের শুল্ক হ্রাস করা যায় কি না তা পরীক্ষা করা, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্তকরণ ইত্যাদি।