মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বা পারবেন না কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন চা-ওয়ালার ছেলে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বা পারবেন না কেন? প্রশ্নটি আর কেউ করলে আপত্তির ছিল না, কিন্তু কথাটি বলেছেন যোগগুরু রামদেব। আর তাই অনেকেরই চোখ বড় হয়ে উঠেছে।

যোগগুরু রামদেব আর নরেন্দ্র মোদির সখ্যের কথা কে না জানে! আর তিনি কিনা এসব বললেন? গত লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী বাছাইয়ে পর্যন্ত ভূমিকা ছিল তার। অথচ কালোটাকা প্রশ্নে অমিত শাহরা যখন মমতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানাচ্ছেন, তখন কলকাতা সফরে এসে মমতার সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করলেন যোগগুরু রামদেব।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে শনিবার দেখা করেন এই যোগগুরু। রাজভবন থেকে তিনি বেরোনোর পর মমতা সম্পর্কে বিজেপির সমালোচনা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে রামদেব বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কালোটাকা রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এ-ও মনে করি না, উনি কালোটাকার পক্ষে লড়ছেন। নোট বাতিলের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়েই উনি অসন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে।’

রামদেব আরো বলেন, ‘মমতাজি ২০০ টাকা দামের শাড়ি পরেন, পায়ে হাওয়াই চটি। জীবনযাপনও এক্কেবারে সাদাসিধে। ওর সততা, নিষ্ঠার প্রশ্নে কোনো দিনই আমার সন্দেহ ছিল না, আজও নেই।’

মোদিবিরোধী আন্দোলনে ইদানীং মমতা খুবই সক্রিয়। সে বিষয়েও মত জানতে চাওয়া হয়েছিল রামদেবের কাছে। এ ক্ষেত্রেও তৃণমূল নেত্রী সম্পর্কে ইতিবাচক জবাবে যোগগুরু বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার ইচ্ছা কারও থাকতেই পারে। একজন চা-ওয়ালার ছেলে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বা পারবেন না কেন?’

রামদেবের মুখে তৃণমূল নেত্রীর এ হেন প্রশংসা শুনে বিজেপি নেতারাই কিছুটা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

অবশ্য বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, মমতার সমালোচনা করলে পাছে বাংলায় তার ব্যবসা মার খায়, সেই কারণেই হয়তো বোল পাল্টেছেন বাবাজি।