মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদের জেরে বাবাকে হত্যা

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদের জের ধরে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামে নূহ নবী (৪৬) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিন জন।

আহতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী উলাফাতুন বেগম (৪২), মেয়ে শ্যামলী (১৩) ও ভাই ফিরোজ আলী (৩৮)। আহতরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফিরোজ আলী জানান, ঈদুল আজহার দিন নূহ নবীর মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী শ্যামলীকে শ্লীলতাহানি করে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল। এ ঘটনায় মেয়ের বাবাসহ তার আত্মীয় স্বজনরা এর প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় রাজ্জাক পক্ষের ৪ জন। এতে  তারা নূহ নবীসহ ৬ জনকে আসামী করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কয়েকদিন পর ওই মামলায় জামিন পেয়েও প্রতিপক্ষের ভয়ে পলাতক ছিলেন তারা। গেল কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রামে তারা ফিরে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় নূহ নবী তার জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য বুড়িপোতা গ্রামের মহসিনের বাড়িতে যান। তার বাড়ি থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশে ওৎ পেতে বসে থাকা রাসেল, মিয়া, আনার ও ইউনূসসহ বেশ কয়েক জন তার উপর হামলা চালায়। এ সময় রড, হাতুড়ি, বাঁশসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখম করে নূহ নবীকে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন তার ভাই ফিরোজসহ পরিবারের লোকজন। এ সময় ফিরোজ আলী, উলফাতুন বেগম ও শ্যামলীকে পিটিয়ে জখম করে তারা। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মারা যান নূহ নবী।

নিহতের পরিবারের দাবী ওই হামলার সাথে গ্রামের শরিফ মেম্বর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নূহ নবীকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে। আহতরা বেশ কয়েক জনের নাম প্রকাশ করেছেন। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে আরো জানান তিনি।