লালমোহন গজারিয়ায় হোন্ডা চালক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দিয়েও আতঙ্কে বাদীপক্ষ

ভোলা প্রতিবেদক : লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের শিমুলতলী এলাকায় এক হোন্ডা চালকের মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে থানা অপমৃত্যু মামলা নিলেও ছেলের বাবা হত্যার দাবী করে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রæয়ারী গজারিয়া মন্নান ডিলারের বাগানে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় হোন্ডা চালক মামুনের লাশ। ওই নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানান গুঞ্জন।
মামুনের বাবা আলমগীর বলেন, ভায়রা হাসানের বাড়ি গজারিয়া বাজারের পাশে দিনার দোকানের সাথে। হাসানের মেয়েকে মামুনের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ফন্দি আটে। গত ১৭ ফেব্রæয়ারী রাত ৩টার দিকে তার কাছে ফোনে ভায়রা হাসান বলেন, মামুন তাদের বাড়িতে ডুকেছে। তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আলমগীর এ খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গেলে বলা হয়, মামুনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে চলে গেছে। আলমগীর ওই বাড়ি থেকে ফিরে এসে খোঁজাখুজি করে সেই বাড়ির খালের ওপর পাশে গাছের সাথে মামুনের লাশ ঝুলতে দেখে। ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাকে পুলিশ আত্মহত্যা বললেও আমি হত্যা মামলা দিতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমি ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কোর্টে মামলা করেছি হাসানসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। মামুনের বাবা আলমগীর আরো অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারা হত্যা করেছে তা আমরা জেনেও তখন কিছু করতে পারিনি। আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি মামলা করতে গেলে লালমোহন থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। পরে নিরুপায় হয়ে ভোলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করি, মামলা নং এম,পি ৬২/২০১৭ (লাল)।‘ এ ঘটনায় মামলা করায় বিবাদীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন আলমগীর। এ ঘটনার মোঃ হাচানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে হাচান বলেন,মামুন নিজের গলায় দড়ি দিয়ে নিজে মারাযায় আমরা কোনোভাবেই এর সাথে জরিত নই