১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, সিরাজগঞ্জে আ.লীগ নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভেকু মেশিন দিয়ে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন ভাঙচুর ও ১০ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন জাকিয়া সুলতানা নামে এক নারী।

মামলার আসামিরা হলেন- সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু, থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ সরকার ও ভেকু মেশিনের চালক নলকার সেনগাতি এলাকার সুজন মিয়া।

বাদী জাকিয়া সুলতানা সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের মেয়ে।

বুধবার (১৮ মে) বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন জানান, গত সোমবার (১৬ মে) আদালতে অভিযোগ করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াছমিন আরা আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে সলঙ্গা বাজারের ধানহাটায় সাড়ে তিন শতক ভূমির মালিক বাদী জাকিয়া সুলতানা। ওই জায়গায় তিনি বহুতল ভবন নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে এক তলার ছাদ ঢালাই হয়েছে। এ অবস্থায় থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেকু মেশিন দিয়ে বাদীর নির্মাণাধীন ভবনের সামনের অংশ ভাঙতে থাকেন।
পরে সলঙ্গা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসামিরা সটকে পড়েন। তবে ভবন ভাঙার কাজে ব্যবহৃত ভেকু মেশিনটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় বাদীর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর বলেন, প্রভাব খাটিয়ে ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর সরকার ও তার মেয়ে সলঙ্গা হাটের প্রবেশপথ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন। এলাকার হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে ওই বাড়ি ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে হাটের প্রবেশপথ উদ্ধার হয়েছে।