৩০ লাখ শহীদের ক্ষতিপূরণ পাকিস্তানের দেওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কাছ থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৩০লাখ শহীদের ক্ষতিপূরণ কে দিবে?

‘১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ব্যাংক লুট করে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাসহ সরকারি দপ্তরের টাকাও লুট করে। এসব টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার যৌক্তিকতা নেই।’

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ: দমনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে মিথ্যাচার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ধর্মকে কেউ যেন অধর্মের কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলো এদেশের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ। এর নেতিবাচক প্রভাব বহির্বিশ্বেও পড়ছে।

তিনি বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক, উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে অভিহিত করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের গভীরে গিয়ে এর সূত্র নির্ণয় করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. আবদুল মোমেন, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম সাঈদ এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধি রাজেশ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান। সমিতির দপ্তর সম্পাদক মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

উদ্বোধনী পর্বের পর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। পরে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।