চুলের আগা ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল

লম্বা আর সুন্দর চুল অথচ একটু বাড়তে না বাড়তেই ডগা ফেটে যাচ্ছে? একটু আচড়াতেই ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে আর বারোটা বাজাচ্ছে চুলের সৌন্দর্যের? এমনটা হলে মুশকিল। কারণ নিয়মিত পরিচর্যার অভ্যাস না থাকলে এমনটা চলতেই থাকবে। অনেকেরই অভিযোগ, যেভাবেই যত্ন নেওয়া হোক না কেন, কিছুদিন পর ঠিক ফিরে আসে এই সমস্যা।

পাশাপাশি এ সময় চুল দেখতে শুষ্ক, নির্জীব ও রুক্ষ লাগে এবং চুলের বৃদ্ধিও থেমে যায়। অনেকে প্রাথমিক সমাধান হিসেবে চুল ট্রিম করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কিছুদিন পরই আবার তা ফিরে আসে। যাঁদের সমস্যা প্রকট, তাঁদের ক্ষেত্রে কন্ডিশনার, হেয়ার সিরাম ব্যবহার করেও লাভ হয় না।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চার বা আদ্রতা না পৌঁছনোর ফলেই এ সমস্যা দেখা দেয়। চুলের আগা ফেটে গেলে বেশিরভাগ সময়ই সেই অংশ আমরা কেটে দিয়ে থাকি। কিন্তু যদি চুলের সঠিক পরিচর্যা নেওয়া হয়, তাহলে বারবার চুলের আগা ফেটে যাওয়া অংশ কেটে দেওয়ার দরকার পড়বে না। পরিবর্তে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর।

কী কী পদ্ধতি মেনে চললে চুলের আগা ফাটার সমস্যা রোধ করা যাবে, সেগুলো জেনে নেওয়া দরকার-

১. ভিজে অবস্থায় চুলে খুব সাবধানে হাত দেবেন।

২. গোসলের পর চুলে পাতলা সুতির তোয়ালে কিংবা কোনো কাপড় জড়িয়ে রাখবেন। ফলে ভেজা চুলে আঘাত লাগার আশঙ্কা কম থাকে।

৩. ভেজা চুল যতটা সম্ভব না আঁচড়ানো ভালো।

৪. যদি একান্তই ভেজা চুল আঁচড়ানোর দরকার পড়ে, তাহলে সবসময় বড় দাঁড়াওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করুন। ব্রাশ একেবারেই চুল আঁচড়ানোর জন্য ব্যবহার করবেন না। ব্রাশ ব্যবহার করলে চুল আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।

৫. যতবারই চুল ধোবেন, ততবারই গোসলের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা দরকার। কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশি মোলায়েম থাকে। তবে অনেকেরই ধারণা রয়েছে, কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই ভুল।

৬. সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে কোনো মাস্ক ব্যবহার করুন। আপনার চুল যেমন, তেমন মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। চুলে মাস্ক লাগিয়ে রাখার সময় শাওয়ার ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

৭. হেয়ার ড্রায়ার, ব্লোয়ার কিংবা স্ট্রেটনারের মতো মেশিন অত্যধিক ব্যবহার করলে তা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের মেশিন যত কম ব্যবহার করা যায়, তত ভালো।