দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর যে কেউ বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন: ফ্লোরা

দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর যে কেউ বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। তবে এ মুহূর্তে গ্রাম পর্যায়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) বুস্টার ডোজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইজারের টিকা হাতে রয়েছে বলে জানান ফ্লোরা। বলেন, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তৃতীয় ডোজে ফাইজারের টিকা নিতে কোনো টেকনিক্যাল বাধা নেই। তাই আমরা ফাইজার দিচ্ছি। বুস্টার ডোজ নিলে সার্টিফিকেট পেতে অপেক্ষা করতে হবে। যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তারা কিন্তু আমাদের সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্টার্ড, এমনকি তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তাদেরই আমরা তৃতীয় ডোজ দেব, যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস হয়েছে।

তিনি বলেন, শুরুতে আমাদের ফাইজারের টিকা বেশি দেওয়ার সক্ষমতা ছিল না। পর্যায়ক্রমে আমরা পর্যাপ্ত টিকা ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ফাইজারের টিকা পৌঁছে দিয়েছি। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা পর্যায়েও এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ আমরা যেভাবে দিয়ে আসছিলাম, বুস্টার ডোজও সেভাবে দেব। এখানে মিক্সার ডোজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনার টিকার সুরক্ষা সক্ষমতা কমে আসায় উন্নত দেশগুলো আগেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। এখন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার পর বাংলাদেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়।