নীলফামারীতে বিদ্যালয় মাঠে হাটুপানি ভোগন্তিতে শিক্ষার্থীরা

আল-আমিন, নীলফামারী: নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি’র পুষনা শহীদ শরিফুল ইসলাম ৫নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি। শ্রেণী কক্ষে যেতে হয় কাপড় ভিজে। জলাবদ্ধতার ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা থেকে স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। আর বিদ্যালয়টির চারপাশে পুকুর থাকায় থৈথৈ করছে পানি। মাঠটির বেশির ভাগ অংশই কচুরিপানা, আগাছায় ভরে গিয়ে জলমগ্নে পরিণত হয়েছে। অল্প কিছু অংশে পানি না থাকলেও তা কর্দমাক্ত ও স্যাঁতসেঁতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারছেনা পানির কারনে। যদিও বা কাপড় ভিজে শ্রেণীকক্ষে যায় কিন্তু মাঠে নামার কোন সুযোগ নেই। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয় ও কাপড় ভিজে বই খাতা কলম পানিতে পড়ে যায়। পানির কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাওয়াসহ শরীরর্চ্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারে না। এতে করে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

শিক্ষার্থী শামীম ইসলাম,মৌসুমী আক্তার জানান, মাঠটি সামান্য বৃষ্টিপাতে হাটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।আমরা অনেক কষ্ট করে ভিজে শ্রেণীকক্ষে যাই।আমরা কঠিন দুর্ভোগে পাঠদান করছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষক শওকত আলী বলেন, এই স্কুলে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘ ৯বছর ধরে বর্ষার সময় পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা পাঠদানে ব্যহত হয়। মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না কোমলমতি শিশুরা।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সমাধানের পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সদর ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় বড় ধরনের কোন বরাদ্দ না থাকায় মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। তার পরও মাটি ভরাটের জন্য শ্রমিক পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানে কোন মাটি পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতার বলেন, মাঠটি নিচু হওয়ার কারণে বর্ষার পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারীভাবে মাঠ ভরাটের বরাদ্দ নেই আমাদের। তবে বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা অনেক কষ্ট করে পাঠদান করেন।