নীলফামারী সরকারী খাদ্য গুদামে শ্রমিকদের চাঁদাবাজি জেলা প্রশাসক কে অভিযোগ

আল-আমিন,নীলফামারী: সরকারী খাদ্য গুদামে শ্রমিক সিন্ডিকেট (৩০ কেজির) চাউলের বস্তা খালাসে ১০ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নূহা অটো রাইস মিল লিঃ এর চাউলের ট্রাক আনলোড করা থেকে বিরত থাকে শ্রমিকরা। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মিল মালিকেরা ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চালের ট্রাক খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। আগ্রহ হারাচ্ছে সরকারী খাদ্য গুদামে চাউল সরবরাহে যার ফলে জেলায় সরকারী ভাবে চাউল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী নূহা অটো রাইস মিল লিঃ এর স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রাকিব হাসান (মিশুক) ১লা ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে  সরকারি খাদ্য গুদামের শ্রমিক সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরাফাত বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে নুহা অটো রাইস মিল লিঃ এর স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রাকিব হাসান (মিশুক) জানিয়েছেন, বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য ২ টাকা কম হওয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে চাউল দিতে এমনিতেই লোকসান গুনতে হচ্ছে মিল মালিকদের। তার ওপর শ্রমিকদের ৩০ কেজির বস্তা প্রতি ১০ টাকা অতিরিক্ত চাঁদা দাবী মিল মালিকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমান দ্বিগুণ করেছে। আমরা সরকারের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী চাল দিতে প্রস্তুত।

সরকারী খাদ্য গুদামের শ্রমিক সদ্দার ও সংগঠনের সভাপতি মোঃ মমেদুল ইসলাম বস্তা প্রতি ১০ টাকা নেয়ার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমাদের পোষায়না সরকার বস্তা প্রতি ১টাকা দেয় আমাদের।

সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক তফিউজ্জামান জুয়েল  বলেন মিলারদের সাথে লেবার সর্দারদের অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি। মিলারদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে লেবারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, শ্রমিকদের এই বিষয়ে ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি ৬ বছর থেকে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে এছাড়া আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি দেখি  কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

গত ২৯ নভেম্বর থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে খাদ্য বিভাগ ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ট্রাকের চাউল স্কেল হলেও ১লা ডিসেম্বর  দুপুর পর্যন্ত  ট্রাক থেকে চাউল খালাস করেনি শ্রমিকরা।