সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে অভিভূত ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ ঘুরে দেখে অভিভূত হয়েছেন ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজে আসলে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান সকল রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আয়োজনে ‘মুজিব ফ্যামিলাইজেশন ট্যুর’র অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা দু’দিন ঘুরে দেখেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ।

ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইতালি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ২ দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন।

ভ্রমণ শেষে তারা দেশের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কাজ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবেই এই ট্যুর। ঐতিহ্য সুরক্ষিত করতে সরকার কাজ করছে। কোনভাবেই ঐতিহাসিক নিদর্শন নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাগেরহাটের লোকজন অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। বিশ্ব ঐতিহ্যের বড় দুটি স্থানই পড়েছে বাগেরহাটে। একটি সুন্দরবন, অন্যটি ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহানের অন্যান্য স্থাপনা। আমাদের সঙ্গে আজ (মঙ্গলবার) এখানে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দুটি সংস্থার প্রতিনিধি এসেছেন। তারা সবাই আমাদের দেশের এই প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।

আমাদের এই ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছি। যার অংশ হিসেবেই এই ট্যুর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বলেছে, তারা তাদের দেশের পর্যকটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে উৎসাহী করবেন।

বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট প্রত্নতত্ত জাদুঘর ঘুরে দেখেন।

প্রতিনিধি দলে থাকা ঢাকায় কর্মরত নেপাল অ্যাম্বাসির কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশের ষাটগম্বুজ মসজিদের ঘুরতে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটার স্থাপত্য শৈলী অসাধারণ। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। তবে এই মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। আমি এই স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখার জন্য বিশ্বের সকল পর্যটকদের অনুরোধ করবো।